কলকাতা আইডব্লিউএটি বন্দর

অভ্যন্তরীণ বন্দর

কলকাতা আইডব্লিউএটি বন্দর বা আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা টার্মিনাল হল একটি অভ্যন্তরীণ বন্দর[১] বন্দরটি কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এটি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে আইডব্লিউএটি দ্বারা বিকশিত হয়েছিল। বন্দরটি একটি স্থায়ী জেটি ও দুটি পন্টুন জেটিস নিয়ে গঠিত। বন্দরটি মূলত অভ্যন্তরীণ জলপথে চলাচলে উপযোগী নৌযান (বার্জ) পরিচালনা করে; বন্দরে স্থায়ী জেটিতে জলের গভীরতা ৫ মিটার।

কলকাতা আইডব্লিউএটি বন্দর
কলকাতা টার্মিনালের জিআর জেটি ২-এ বাংলাদেশগামী জাহাজে হার্ড কোক লোড করা হচ্ছে
অবস্থান
দেশভারত
অবস্থানগার্ডেনরিচ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
স্থানাঙ্ক২২°৩২′৪৯″ উত্তর ৮৮°১৮′০৪″ পূর্ব / ২২.৫৪৭০৬৩৩° উত্তর ৮৮.৩০১০৩৬৫° পূর্ব / 22.5470633; 88.3010365
বিস্তারিত
চালু২০১৩; ১১ বছর আগে (2013)
পরিচালনা করেসামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ইস্ট গেটওয়ে (ভারত)[১]
মালিকভারতীয় অন্তর্দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ (আইডব্লিউএটি)
পোতাশ্রয়ের ধরনঅভ্যন্তরীণ বন্দর
জমির আয়তন১০ একর (৪.০ হেক্টর)
উপলব্ধ নোঙরের স্থান
ড্রাফটের গভীরতা৫ মিটার (১৬ ফু)

বন্দরটি অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর পূর্ব ভারত এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বন্দরসমূহ সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। বন্দরটি মূলত বাল্ক পণ্য ও কন্টেইনার পণ্য পরিবহন করে; ২০২২–২৩ অর্থবর্ষের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরটি ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫ শত ৩৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন পণ্য পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল।

ইতিহাস সম্পাদনা

কেন্দ্রীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী শ্রী জি.কে. ভাসান ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে নভেম্বর গার্ডেন রিচ জেটি-২-এ ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (আইডব্লিউএআই) ট্রান্সপোর্ট টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। এই দিনেই প্রথম একটি বার্জ বন্দরে নোঙ্গর করে, ২১০০ টন কয়লা বহনকারী বার্জকে কেন্দ্রীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী কর্তৃক পতাকা দেখিয়ে ফারাক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রার সূচনা করার মাধ্যমে জেটির কার্যক্রম চালু হয়েছিল। ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইডব্লিউএআই) দ্বারা ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে অক্টোবর কোম্পানির ভারতীয় সাবসিডিয়ারির কাছে কলকাতা টার্মিনাল হস্তান্তর করা হয়, এবং ৩০ বছরের ছাড়ের অধীনে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে অক্টোবর থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।

পরিকাঠামো সম্পাদনা

জেটি সম্পাদনা

কলকাতা টার্মিনালে নদীর তীরস্থিত তিনটি জেটি রয়েছে, যেগুলি হল বিআইএসএন জেটি, গার্ডেন রিচ জেটি-১ ও ২। জেটিগুলি বার্জ বা লাইটার জাহাজসমূহকে বারথিং সুবিধা প্রধান করে।

বিআইএসএন জেটি ও গার্ডেনরিচ জেটি-১ হল পন্টুন জেটি, জেটি দুটি ফ্লাই অ্যাশ লোডিং-এর জন্য নকশাকৃত; এছাড়াও রো-রো পরিষেবা প্রদানের সুবিধা রয়েছে। ডিজেল কম্প্রেসার দ্বারা পাইপের মাধ্যমে ফ্লাই অ্যাশ নৌযানে লোড করার পরিকাঠামো রয়েছে। জেটি দুটির সম্মিলিত বার্থিং দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার।

গার্ডেনরিচ জেটি-১ জেনারেল পণ্য পরিচালনা করা হয়, এছাড়া কন্টেইনার পণ্যও লোডিং ও আনলোডিং-এর সুবিধাদি রয়েছে। জেটিটি একটি স্থায়ী আরসিসি জেটি, যার বার্থিং দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার।

পণ্য মজুত সুবিধা সম্পাদনা

এই অভ্যন্তরীণ বন্দর সুবিধাটিতে গুদাম এলাকা ও সঞ্চয় এলাকা রয়েছে, যেগুলি জেটি গুলির পিছনে নদীর পাড়ে অবস্থিত। স্থায়ী জেটির সঙ্গে ১,১৮৭ বর্গমিটারের গুদাম এলাকা (ট্রানজিট শেড) রয়েছে, এবং বন্দরে পণ্য-দ্রব্য সঞ্চয়ের জন্য ৪,০৪৮ বর্গমিটার হার্ড স্ট্যান্ড এলাকা এবং ১৩,৮৯০ বর্গমিটার খোলা এলাকা রয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Summit Alliance Port Limited (SAPL)"Summit Alliance Port Limited (SAPL)। ৮ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা