অপরাধ বিজ্ঞান
অপরাধ বিজ্ঞান হল অপরাধের কারণ, প্রভাব, অপরাধীর চরিত্র, বিষয় বিবেচনা, প্রতিকার বা নিয়ন্ত্রণের সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক অনুশীলন। এটি সমাজবিজ্ঞান এবং আচরণগত বিজ্ঞানের সম্মিলনে গড়ে ওঠা একটি শাখা। এটি সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, মনোবিজ্ঞানী, দার্শনিক, মনোরোগ বিজ্ঞানী, সমাজকর্মী, জীববিজ্ঞানী, সামাজিক নৃবিজ্ঞানীসহ অন্যান্যদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/21/Drei_Frauen_am_Pranger%2C_China%2C_Anonym%2C_um_1875.jpg/220px-Drei_Frauen_am_Pranger%2C_China%2C_Anonym%2C_um_1875.jpg)
অপরাধ বিজ্ঞানীরা অপরাধ বিষয়ে অধ্যয়ন করেন এবং অপরাধের প্রতি সমাজের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা কাজ এবং গবেষণা করেন। অনেক অপরাধ বিজ্ঞানী অপরাধীদের আচরণগত নিদর্শন পরীক্ষা করেন। সাধারণত অপরাধ বিজ্ঞানীগণ গবেষণা ও তদন্তের মাধ্যমে বিভিন্ন তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন এবং পরীক্ষালব্ধ বিভিন্ন প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করেন।[১]
আলোচ্য বিষয় সম্পাদনা
১) অপরাধের প্রকৃতি ২) অপরাধ প্রবণতার কারণ ৩) অপরাধ সংক্রান্ত আইন ও বিচার ব্যবস্থা ৪) অপরাধীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ৫) সংশোধনের পদ্ধতি ও শাস্তি ৬) সমাজে অপরাধীর প্রভাব।
শাখাসমূহ সম্পাদনা
অপরাধতত্ত্ববিদ বঙ্গার অপরাধবিজ্ঞানকে ৫টি শাখায় ভাগ করেছেন। ১) নৃতাত্ত্বিক ২) সামাজিক ৩) মনস্তাত্ত্বিক ৪) অসুস্থতা ভিত্তিক এবং ৫) শাস্তিদাননীতি।[২]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ রউফা, টিমোথি। "Criminology, the Study of Crime, Causes, and Consequences" [অপরাধ বিজ্ঞান, অপরাধের অধ্যয়ন, কারণ এবং ফলাফল]। দ্য ব্যালেন্স ক্যারিয়ারস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ Criminology and Penology, N.V. Paranjape (১৯৯৬)। Nature and scope of criminology। Allahabad: central law publication। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 978-81-908613-0-4।