হোরাস প্রাচীন মিশরীয় ধর্মের অন্যতম প্রাচীনতম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। ইনি মিশরের প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে গ্রীকো রোমান অধিগ্রহণ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পূজিত হয়েছেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক নথিতে হোরাসের বিভিন্ন রূপের কথা পাওয়া যায়,এবং প্রতিটি রূপকে মিশর বিশেষজ্ঞেরা ভিন্ন ভিন্ন দেবতা হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন[১]। বিভিন্ন সময়ে হোরাসের উপর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আরোপিত হয়েছে, যে'গুলোকে পরস্পরবিরোধী না বলে পরস্পরের পরিপূরক বলাই যুক্তিযুক্ত[২]। তাকে সাধারণত একটি বাজপাখি অথবা বাজপাখির মাথাবিশিষ্ট পুরুষ হিসেবে কল্পনা করা হত[৩]

হোরাস
প্রতিশোধ, আকাশ, প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধের দেবতা
হোরাস বিভিন্ন সময়ে প্রাচীন মিশরীয়দের জাতীয় পৃষ্ঠপোষক দেবতা হিসেবে গণ্য হতেন। সাধারণত তাঁকে একটি বাজপাখির মস্তকবিশিষ্ট পুরুষ মূর্তি রূপে কল্পনা করা হত। তাঁর লাল ও সাদা রং এর মুকুটটি সমগ্র মিশর রাজ্যের উপর তাঁর আধিপত্যের প্রতীক।
প্রধান অর্চনাকেন্দ্র centerনেখেন, বেদেত এদফু
প্রতীকহোরাসের চোখ
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতাকোনো কোনো পুরাণে ওসাইরিসআইসিস,এবং অন্যান্য পুরাণে নুটগেব
সহোদরওসাইরিস, আইসিস, সেত, এবং নেপথিস (বিশেষ কিছু নথি অনুযায়ী)
সঙ্গীহাথর (একটি সূত্রে)
সন্তানসন্ততিইমসেতি, হাপি, দুয়ামুতেফ, কেবেসেনুএফ এবং ইহি

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The Oxford Guide: Essential Guide to Egyptian Mythology", Edited by Donald B. Redford, Horus: by Edmund S. Meltzer, p164–168, Berkley, 2003, আইএসবিএন ০-৪২৫-১৯০৯৬-X
  2. "The Oxford Guide: Essential Guide to Egyptian Mythology", Edited by Donald B. Redford, p106 & p165, Berkley, 2003, আইএসবিএন ০-৪২৫-১৯০৯৬-X
  3. Wilkinson, Richard H. (2003). The Complete Gods and Goddesses of Ancient Egypt. Thames & Hudson. p. 202.