সাইকেডেলিক রক (ইংরেজি: Psychedelic rock) রক সঙ্গীতের একটি বিশেষ ধারার নাম। ষাট ও সত্তরের দশকে এই ধারাটি বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাংলা একাডেমির মতে, ‘সাইকেডেলিক সঙ্গীত বলতে বোঝায় এমন সঙ্গীত যা কিনা মনের উপর অমূল প্রত্যক্ষ-উৎপাদক মাদকের মতো কাজ করে।’ যে সঙ্গীত মনের উপর ঘোর সৃষ্টিকারী মাদকের মতো কাজ করে, তাকে সাইকেডেলিক সঙ্গীত বলা চলে।

বিখ্যাত সাইকেডেলিক ব্যান্ডের মধ্যে আছে পিংক ফ্লয়েড এবং দ্য ডোর্স্‌। উল্লেখযোগ্য বাংলা সাইকেডেলিক রক ব্যান্ডের মধ্যে রয়েছে মহীনের ঘোড়াগুলি, মনোসরণি, ফিলিংস, শিরোনামহীন, সহজিয়া, শহরতলী, মেঘদল, কার্নিভাল এবং সোনার বাংলা সার্কাস

সংজ্ঞা সম্পাদনা

সংগীতের ধরন হিসেবে সাইকেডেলিক রক ইলেকট্রনিক সাউন্ড এফেক্ট, বিস্তৃত সোলো, ও এলেমেলো অচিন্তিত রচনার মাধ্যমে হেলুচিনোজেনিক মাদকদ্রব্যের ঘোর লাগানো অনুভূতিটা তৈরি করতে চায়। [২] উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:

  • ইলেকট্রিক গিটার, প্রায়শই ফিডব্যাক, ওয়া-ওয়া ও ফাজি এফেক্ট ইউনিটের সাথে ব্যবহৃত হয়।[২]
  • সম্প্রসারিত স্টুডিও এফেক্ট, যেমন ব্যাকওয়ার্ড টেপ, প্যানিং, ফেজিং, দীর্ঘ মিউজিক লুপ, ও আত্যন্তিক প্রতিধ্বনি।[৩]
  • পূর্বদিকের সংগীতের উপাদান, বিশেষত ভারতীয় সংগীতের উপাদানসমূহ। [৪]
  • অপাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্র, বিশেষ করে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে ব্যবহৃত সেতার এবং তবলার মত বাদ্যযন্ত্র।[৫]
  • ফরই-ফর্ম জ্যাজের উপাদান।[৪]
  • কিবোর্ডের প্রগাঢ় উপস্থিতি।[৬]
  • বিস্তৃত বাদ্যযন্ত্র পর্ব, যেমন, দীর্ঘ গিটার সলো বা জ্যাম।[৭]
  • বৈকল্পিক গানের গঠন।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Hoffmann 2004, পৃ. 1725, "Psychedelic rock was sometimes referred to as 'acid rock.'"; Browne ও Browne 2001, পৃ. 8, "acid rock, also known as psychedelic rock"; DeRogatis 2003, পৃ. 9, "now regularly called 'psychedelic' or 'acid'-rock"; Larson 2004, পৃ. 140, "known as acid rock or psychedelic rock"
  2. Prown ও Newquist 1997, পৃ. 48।
  3. S. Borthwick and R. Moy, Popular Music Genres: an Introduction (Edinburgh: Edinburgh University Press, 2004), আইএসবিএন ০-৭৪৮৬-১৭৪৫-০, pp. 52–4.
  4. Pop/Rock » Psychedelic/Garage, Allmusic
  5. R. Rubin and J. P. Melnick, Immigration and American Popular Culture: an Introduction (New York, NY: New York University Press, 2007), আইএসবিএন ০-৮১৪৭-৭৫৫২-৭, pp. 162–4.[যাচাইকরণ ব্যর্থ হয়েছে]
  6. D. W. Marshall, Mass Market Medieval: Essays on the Middle Ages in Popular Culture (Jefferson NC: McFarland, 2007), আইএসবিএন ০-৭৮৬৪-২৯২২-৪, p. 32.
  7. Hicks 2000, পৃ. 64–66।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা