সদরঘাট, ঢাকা

বাংলাদেশের নদী বন্দর

সদরঘাট বাংলাদেশ-এর আদি ঢাকা শহরের একটি নদীবন্দর যাকে ঘিরে উনিশ শতকে একটি ব্যবসায়িক জনপদ গড়ে ওঠে। এই নদীবন্দরটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।[১] একবিংশ শতকের শুরুতেও এটির গুরুত্ব অক্ষুণ্ন রয়েছে। এর সন্নিহিত এলাকা পুরান ঢাকা নামে প্রসিদ্ধ। এর অতি নিকটে রয়েছে পুস্তক প্রকাশনার ঘাঁটি বাংলাবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বলধা গার্ডেন এবং আহসান মঞ্জিল এবং, সর্বোপরি, বিভিন্ন নদী পরিবাহিত পণ্য, বিশেষ করে মাছ ও ফলের সুবিশাল সব আড়ত। সারাদেশ, বিশেষ করে, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা শহরের নদীকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকেন্দ্র এই সদরঘাট। অসংখ্যা লঞ্চ ঘাটে ভীড় করে আছে। ডিঙ্গি নৌকাগুলো যাত্রী নিয়ে এপার-ওপার করছে, কুলিদের শোরগোল—সব কিছু মিলে সদরঘাট এমন একটি জায়গা যা কখনো নীরব থাকে না।

ঢাকা সদরঘাট
অবস্থান
দেশ বাংলাদেশ
অবস্থানঢাকা
বিস্তারিত
চালু১৭ শ শতাব্দী
মালিকবাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ
পোতাশ্রয়ের ধরননদীবন্দর

ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সর্বমোট ৪৫ টি রুটে নৌযান চলাচল করে। এই নদীবন্দর থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এলাকাগুলো যেমন, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, হাতিয়া, বাগেরহাট প্রভৃতি গন্তব্যে লঞ্চ ও স্টিমার ছেড়ে যায়।

বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে অবস্থিত বাবুবাজার সেতু থেকে দৃশ্যমান সদরঘাট।

এখানে দেড় হাজারের বেশি লঞ্চ আছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সদরঘাটে যত ঘাট"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা