শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক (রং) তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে।[১] [২] শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি নয়। বিজ্ঞানীরা এই রোগের কারণ এখনও জানতে পারেননি। বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত।[৩][৪]

শ্বেতী রোগ
বিশেষত্বচর্মরোগবিদ্যা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অল্প সাদা সম্পাদনা

চিকিৎসা সম্পাদনা

শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়। কিন্তু যেসব জায়গায় লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, থেরাপি ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়।

ওষুধ সম্পাদনা

  • বিভিন্ন মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় মলম,
  • কেলসিপট্রিন মলম,
  • টেক্রলিমাস অথবা পাইমেক্রলিমাস মলম,
  • মুখে খাবার স্টেরয়েড (প্রেডনিসলন) ট্যাবলেট,
  • রিবোফ্লাভিন ট্যাবলেট,
  • ক্লোভেট,
  • মেলাডিনিন,
  • ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাদ্য ,
  • ছোলা বুট।

ফটোথেরাপি/ লেজার সম্পাদনা

  • ন্যেরোবেন্ড আলট্রাভায়োলেট-বি (NB UVB),
  • পুভা (PUVA),
  • লেজার (308 nm exceimer laser) ইত্যাদি চিকিৎসা এককভাবে বা অন্যান্য চিকিৎসার সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়।

কসমেটিক সার্জারি সম্পাদনা

দুই বৎসর বা তার বেশি সময় ধরে যেসব ক্ষেত্রে সাদা দাগ স্থির থাকে বা নতুন দাগ আবির্ভাব হয় না অথবা ওষুধ এবং ফটোথেরাপিতে কাজ হয় না, সে ক্ষেত্রে কসমেটিক সার্জারি করা যায়। বিভিন্ন রকমের সার্জিক্যাল চিকিৎসা আছে-

  • ইপিডার্মাল গ্রাফটিং,
  • অটোলগাস মিনিগ্রাফ্ট,
  • ট্রান্সপ্লানটেশন অব কালচার্ড অর নন কালচার্ড মেলানোসাইট ইত্যাদি।

[২][৫]

বিশ্ব ভিটিলিগো দিবস সম্পাদনা

 
Michael Jackson said that he was diagnosed with vitiligo universalis. Here he is pictured in the early stages of the disease.

২৬ জুন বিশ্ব ভিটিলিগো দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রয়াত পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনও এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন, এবং তার প্রয়াণ দিবসে এই দিবসের নাম করণ করা হয়েছে। [৬][৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ‘শ্বেতী নিরাময়যোগ্য ব্যাধি’ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে, দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৬ জুন ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  2. শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে নয়[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],দৈনিক কালেরকণ্ঠ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  3. বিশ্ব শ্বেতী রোগ দিবস পালিত,দৈনিক যুগান্তর। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৬ জুন, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  4. ‘শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে ও প্রানঘাতি নয়’,ঢাকা টাইমস। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৫ জুন, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  5. শ্বেতী রোগে হতাশা নয় ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-০১-১১ তারিখে,ডা. এম মনিরুজ্জামান খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২২-০৪-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  6. 'শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে ও প্রানঘাতি নয়',খাসখবর। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৬ জুন ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  7. শ্বেতী রোগ প্রাণঘাতী নয়[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],জাস্ট নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৫ জুন ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা