শাক্য বংশ

ধৃত সিং সাগ "সাগ রাজ্য" প্রতিষ্ঠা করেন যা শাক্য রাজবংশে পরিণত হয়।

শাক্য বংশ, প্রাচীনকালের একটি গোত্র। সূর্যবংশীয় রাজা ইক্ষ্বাকুর বংশধরেরা শাক্য বংশের প্রবর্তন করেন।

চিত্র- গৌতম বুদ্ধ (শাক্য বংশীয় রাজপুত্র সিদ্ধার্থ)

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

পূর্বে পাক-ভারত উপমহাদেশ জম্বু দ্বীপ নামে পরিচিত। জম্বু দ্বীপের অর্ন্তগত কোশল রাজ্যে ইক্ষ্বাকু নামে সূর্যবংশীয় রাজার ৪ পুত্র ও ৫ কন্যাকে তাদের বিমাতার কারণে বনবাসে পাঠিয়ে দেন। তখন বোধিসত্ত্ব কপিল নামে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি হিমালয়ের সানুদেশে এক পদ্মসরোবরের তীরে শাক/শাল বনে পর্ণকুটির নির্মাণ করে বাস করছিলেন। তিনি ভূতত্ত্বে পারদর্শী ছিলেন বলে ভুমিভাগের দোষ-গুণ জানতেন। নগর প্রতিষ্ঠার জন্য রাজকুমারদের সাথে দেখা হলে তিনি তাদের প্রতি কৃপাবশত পর্ণকুটিরের স্থানে নগর প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর নাম দেন কপিলাবস্তু, আর শাল/শক্য বনে নগর পত্তন করেছিলেন বলেই তাদের শাক্য বংশ বলা হয়।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

নগর প্রতিষ্ঠার পর রাজকুমারগণ তাদের বংশ রক্ষার্থে বিবাহের উদ্যোগ নিতে গিয়ে সমকুলীন কাউকে পাচ্ছিলেন না। অন্য বংশের কাউকে বিবাহ করলে তাদের মাতার কিংবা পিতার বংশের অপমান হবে বিধায় তারা জ্যেষ্ঠা ভগ্নিকে মাতৃস্থানে প্রতিষ্ঠিত করে চার ভাই, বাকি চার বোনকে বিয়ে করেন। ক্রমে পুত্র-কন্যা হয়ে তাদের বংশ বৃদ্ধি হতে লাগলো। রাজা ইক্ষ্বাকু নিজ পুত্রদের এই কাহিনী শুনে বলেছিলেন কুমারগণ বাস্তবিক অর্থেই শক্য অর্থাৎ সামর্থ্যসম্পন্ন। এই শক্য শব্দ হতে শাক্য বংশের নামকরণ হয়।[১]

গৌতম গোত্র সম্পাদনা

সূর্যবংশীয় রাজা ইক্ষাকুর বংশধরেরা শাক্য বংশের প্রবর্তন করেন। শাক্য বংশীয় রাজা শুদ্ধোধন ও মায়াদেবীর সিদ্ধার্থ পরবর্তী জীবনে সিদ্ধি লাভ করে বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। তার গোত্রীয় নাম ছিলো গৌতম। এই কারণে ইতিহাসে তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত ছিলেন। গৌতম ২৯ বছর বয়সে রোগ, জ্বরা, ব্যাধি থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে গৃহত্যাগ করেন যা মহাভিনিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত। গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধধর্মের স্রষ্টা এবং প্রবর্তক।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. মহামানব বুদ্ধ, অধ্যাপক রনধীর বড়ুয়া। প্রকাশক: Buddhist Reseacrch And Publication Center- Bangladesh; প্রকাশকাল: ২৫০১ বুদ্ধাব্দ/১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ।