লেক অফ নো রিটার্ন বার্মার পাঙসাউ পসে (৩৭২৭') ভারত-বার্মা সীমান্তের পাঙসাউ গ্রামের জঙ্গলে অবস্থিত একটি হৃদ। হৃদটির দৈর্ঘ্য ১.৪ কি.মি এবং এর প্রশস্থতা ০.৮ কি.মি। হৃদটি লেদু সড়কের (স্টিওয়াল সড়ক নামেও পরিচিত ছিল) ২.৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এই সড়কটি ১৯৪২ সালে চাইনিজ আর্মির রসদ আনা নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে হৃদটি ভারত-বার্মার পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় জায়গা।

লেক অফ নো রিটার্ন
স্থানাঙ্ক২৭°১৩′৯″ উত্তর ৯৬°৮′৩৭.৯″ পূর্ব / ২৭.২১৯১৭° উত্তর ৯৬.১৪৩৮৬১° পূর্ব / 27.21917; 96.143861
অববাহিকার দেশসমূহমায়ানমার
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য১.৪ কিমি (০.৮৭ মা)
সর্বাধিক প্রস্থ০.৮ কিমি (০.৫০ মা)
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা৮৬৫ মি (২,৮৩৮ ফু)
দ্বীপপুঞ্জনা
লেক অফ নো রিটার্ন মিয়ানমার-এ অবস্থিত
লেক অফ নো রিটার্ন
লেক অফ নো রিটার্ন
বার্মায় লেক অফ নো রিটার্নের অবস্থান

কিংবদন্তি সম্পাদনা

হৃদের নামকরণ নিয়ে অনেক ধরনের গল্প প্রচলিত। ভারতের চেঙলেং জেলার ওয়েবসাইট অনুসারে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এখানে কয়েকটি বিমান ক্রেশ করেছিল।[১] ভারতীয় মিডিয়া[২] ও কল্পকাহিনীতেও এই ঘটনার বিবরন পাওয়া যায়।[৩] দ্বিতীয়টি হলো, একদল জাপানি সৈন্য পথ হারিয়ে এই হৃদের পারে চলে আসে ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে। আবার অনেকের মতে, একদল ব্রিটিশ সৈন্য ১৯৪২ সালে এখানে চোরাবালির মধ্যে পরে হারিয়ে যায়।[৪] এজন্য এই হৃদের নাম দেয়া হয়েছে লেক অফ নো রিটার্ন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "A profile of Changlang district: The place of interests"। National Informatics Centre, Changlang District Unit। ২০০৩। ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৩ 
  2. "A trip to hidden paradise - Arunachal festival promises a journey to the unknown"। The Telegraph (Kolkata)। ২০০৭-০১-১৮। ২০১২-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৭ 
  3. Dai, Mamang (২০০৬)। The Legends of Pensam। Penguin। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 978-0-14-306211-0 
  4. Hoefer, Hans (১৯৮৫)। India। Apa (Hongkong)। আইএসবিএন 978-0-13-456856-0  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা