লম্বক (ইন্দোনেশীয় ভাষায়: Pulau Lombok) দক্ষিণ-পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার ক্ষুদ্র সুন্দা দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। এটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম নুসা তেংগারা প্রদেশের মধ্যে পড়েছে। দ্বীপটি পশ্চিমে বালি দ্বীপ হতে লম্বক প্রণালী দ্বারা এবং পূর্বে আলাস প্রণালী দ্বারা সুম্বাওয়া দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন। মোটামুটি গোলাকৃতির এই দ্বীপটির আয়তন ৪,৭২৫ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তটি লেজের মত প্রসারিত। দ্বীপটি আগ্নেয়গিরিতে পূর্ণ, যাদের মধ্যে ৩,৭২৬ মিটার উঁচু রিনজানি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ; রিনজানি ইন্দোনেশিয়ার ৩য় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত মাতারাম শহরটি প্রধান লোকালয় ও প্রাদেশিক রাজধানী। কাছেই আম্পেনাম নামের বন্দর শহরে মাতারাম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত।

Lombok
Topography of the island
ভূগোল
অবস্থানSouth East Asia
স্থানাঙ্ক৮°৩৩′৫৪″ দক্ষিণ ১১৬°২১′০৪″ পূর্ব / ৮.৫৬৫° দক্ষিণ ১১৬.৩৫১° পূর্ব / -8.565; 116.351
দ্বীপপুঞ্জLesser Sunda Islands
আয়তন[রূপান্তর: অকার্যকর সংখ্যা]
সর্বোচ্চ উচ্চতা৩,৭২৬ m মিটার (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত শব্দ "m"। ফুট)
সর্বোচ্চ বিন্দুRinjani
প্রশাসন
Indonesia
ProvinceWest Nusa Tenggara
বৃহত্তর বসতিMataram
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা2,950,105 (2005)
জনঘনত্ব৭৯২ /বর্গ কিমি (২,০৫১ /বর্গ মাইল)
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহSasak, Balinese

দ্বীপটির উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলি বালি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ধরনের নয়, বরং অস্ট্রেলীয় প্রাণীদের সাথে এদের বেশি মিল রয়েছে। প্রকৃতিবিজ্ঞানী আলফ্রেড রাসেন ওয়ালেস দ্বীপটিকে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার প্রাণীসমূহের বিভক্তিসীমার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন।

ইউরোপীয়দের মধ্যে ১৬৭৪ সালে ওলন্দাজের প্রথম এই দ্বীপটি দেখতে পায় এবং তারা দ্বীপের পূর্ব অংশে বসতি স্থাপন করে। পশ্চিম অংশে বালি দ্বীপের এক হিন্দু রাজা শাসন করতেন। হিন্দু রাজার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিদ্রোহ করলে ১৮৯৪ সালে ওলন্দাজরা সমগ্র দ্বীপটি দখলে নেয়।

লম্বকে উৎপন্ন কৃষিদ্রব্যের মধ্যে আছে ধান, কফি, চিনি, তুলা, তামাক ও দ্বীপের দক্ষিণভাগে উৎপন্ন নীল। এখানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ লোকের বাস। এরা মূলত জাভা দ্বীপ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দে আগত সাসাক জাতির লোক। এছাড়া ১০%-এর মত বালি জাতির লোক এখানে বাস করে। সাসাকেরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং এ কারণে দ্বীপের সর্বত্র মসজিদ দেখতে পাওয়া যায়।

পার্শ্ববর্তী বালি দ্বীপের চেয়ে লম্বক দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপেক্ষাকৃত বেশি নির্মল। মাতারাম শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত সেনগিগি নামের এলাকাটি এখানকার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। কুতা এলাকার অকলুষিত সমুদ্র সৈকতগুলি এবং সার্ফিংয়ের জন্য এর নিকটবর্তী সমুদ্র প্রশংসা লাভ করেছে।