মারাঠি জাতি

(মারাঠা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মারাঠি জাতি, মারাঠি বা মহারাষ্ট্রীয় হিসাবেও উপস্থাপিত, একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী, যারা মাতৃভাষা হিসাবে ইন্দো-আর্য ভাষা মারাঠিতে কথা বলে। তারা আধুনিক ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে বাস করে, যেটি ১৯৬০ সালে ভারতীয় রাজ্যসমূহের একটি দেশব্যাপী ভাষাগত পুনর্গঠনের অংশ হিসাবে একটি মারাঠি-ভাষী রাজ্য হিসাবে গঠিত হয়েছিল। "মারাঠা" শব্দটি সাধারণত ইতিহাসবিদরা বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মারাঠি-ভাষী লোকদের বোঝাতে ব্যবহার করেন।[৮] যদিও বর্তমানে, এটি মারাঠা নামক মহারাষ্ট্রীয় জাতিসমূহের একটি গোষ্ঠীকে নির্দেশ করে।[৯]

মারাঠি জাতি
मराठी लोक
মোট জনসংখ্যা
আনু. ৫.৮ কোটি[১]
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 ভারত৮,৪০,২৬,৬৮০ (২০১১)[২]
 যুক্তরাষ্ট্র১,২৭,৬৩০[৩]
 ইসরায়েল৬০,০০০ (বেনে ইসরায়েল)[৪]
 অস্ট্রেলিয়া১৩,০৫৫[৫]
 কানাডা৯,৭৫৫[৬]
 পাকিস্তান৫০০[৭]
ভাষা
মারাঠি
ধর্ম
প্রধানত:
হিন্দুধর্ম
সংখ্যালঘু:

মারাঠি সম্প্রদায় ১৭শ শতাব্দীতে রাজনৈতিক প্রসিদ্ধিতে এসেছিল, যখন মারাঠারা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের অধীনে মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা ভারতে মুঘল শাসনের অবসানের জন্য অনেকাংশে কৃতিত্বপূর্ণ।[১০][১১][১২]

ইতিহাস সম্পাদনা

প্রাচীন থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত সম্পাদনা

প্রাচীন যুগে, প্রায় ২৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, মহারাষ্ট্র সাতবাহন রাজবংশের শাসনের অধীনে আসে, যারা এই অঞ্চল ৪০০ বছর ধরে শাসন করেছিল।[১৩] বাকাটক রাজবংশ ৩য় শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দী পর্যন্ত[১৪] এবং চালুক্য রাজবংশ ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে ৮ম শতাব্দী পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে শাসন করে। দুই বিশিষ্ট শাসক হলেন দ্বিতীয় পুলকেশী, যিনি উত্তর ভারতীয় সম্রাট হর্ষকে পরাজিত করেছিলেন এবং দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য, যিনি ৮ম শতাব্দীতে আরব আক্রমণকারীদের পরাজিত করেছিলেন। রাষ্ট্রকূট রাজবংশ ৮ম থেকে ১০ম শতাব্দী পর্যন্ত মহারাষ্ট্র শাসন করেছিল।[১৫] পারসিক বণিক ও ভ্রমণকারী সুলাইমান আল-তাজির, যিনি ৯ম শতাব্দীর মাঝামাঝি ভারত ও চীনে তাঁর বহু ভ্রমণের কথা লিখেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রকূট রাজবংশের শাসক আমোঘবর্ষকে "বিশ্বের চার জন মহান রাজার একজন" বলে অভিহিত করেছেন।[১৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. টেমপ্লেট:E22
  2. "Statement 1 : Abstract of speakers' strength of languages and mother tongues - 2011" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  3. "US Census Bureau American Community Survey (2009 - 2013)"Census.gov। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৮See Row #63 
  4. "Bene Israel of Mumbai, India"Beit Hatfutsot। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২১ 
  5. "Marathi people in Australia" 
  6. "Total - Mother tongue for the total population excluding institutional residents - 100% data"Census Profile, 2016 Census। Statistics Canada Statistique Canada। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  7. Desai, Shweta (২২ অক্টোবর ২০১৫)। "Why create problems when we live in peace: Marathi-speaking community from Karachi to Shiv Sena"DNA India। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ 8
  8. Rosalind O'Hanlon (২২ আগস্ট ২০০২)। Caste, Conflict and Ideology: Mahatma Jotirao Phule and Low Caste Protest in Nineteenth-Century Western India। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 978-0-521-52308-0 
  9. "Maratha (people)"Encyclopædia Britannica। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৩ 
  10. Pearson, M. N. (ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬)। "Shivaji and the Decline of the Mughal Empire"The Journal of Asian Studies35 (2): 221–235। জেস্টোর 2053980ডিওআই:10.2307/2053980 
  11. Capper, John (১১ আগস্ট ২০১৭)। Delhi, the Capital of India। Asian Educational Services। আইএসবিএন 9788120612822। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৭ – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  12. Sen, Sailendra Nath (১১ আগস্ট ২০১৭)। An Advanced History of Modern India। Macmillan India। আইএসবিএন 9780230328853। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৭ – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  13. India Today: An Encyclopedia of Life in the Republic: p. 440
  14. History of Humanity: From the seventh century B.C. to the seventh century A.D. by Sigfried J. de Laet, Joachim Herrmann p. 392
  15. Indian History - page B-57
  16. A Comprehensive History Of Ancient India (3 Vol. Set): p. 203