মাঞ্জা

রাসায়নিক যৌগ

মাঞ্জা বা ক্রিয়া বিশেষণ হিসেবে মাঞ্জা দেয়া, ঘুড়ি ওড়ানোর বিনোদনের স্বার্থে ব্যবহৃত সুতার বিশেষ প্রস্তুত প্রক্রিয়াকে বোঝায়। সাধারণত ঘুড়ি উৎসব কিংবা সাধারণ ঘুড়ি ওড়ানোর বিনোদনের স্বার্থে ঘুড়ি কাটাকাটি খেলতে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ভারতবর্ষের আশেপাশের দেশে মাঞ্জা দেয়া সুতা ব্যবহৃত হয়।

ঘুড়ির সূতায় মাঞ্জা দিয়ে সূতা প্রস্তুত করা হচ্ছে, ঢাকা, বাংলাদেশ

ঘুড়ি উৎসবে সাধারণত প্রতিদ্বন্দ্বিরা একে অন্যের ঘুড়ির সুতা কেটে ঘুড়িকে ভূপাতিত করার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হোন। আকাশে উড্ডয়নরত ঘুড়িগুলোকে ভূপাতিত করতে প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতি হলো নিজের ঘুড়ির সুতা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীর ঘুড়ির সুতাকে ঘষে সুতা ছিঁড়ে দেয়া। একাজে বিশেষ কৌশলের প্রয়োজন হয়, এবং অতি আবশ্যিকভাবেই প্রয়োজন হয় ধারালো সুতা। আর ধারালো সুতা তৈরির প্রয়োজনেই দরকার হয় মাঞ্জা দেয়া।

প্রণালী সম্পাদনা

সুতাকে ধারালো করতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় কাচচূর্ণ বা কাচের গুঁড়া। কাচের গুঁড়া যাতে সুতার গায়ে সেঁটে থাকে, সেজন্য সংযোজনী হিসেবে ব্যবহৃত হয় আঠা। আর সুতার সৌন্দর্য্যবর্ধনে অতিরিক্ত সংযোজিত হয় রং —রং, মাঞ্জার মূল উপাদান নয়। যে সুতাকে ধারালো করা হবে তা আঠা এবং কাচচূর্ণের দ্রবণে ডুবিয়ে নেয়া হয়। এবং সুতার মধ্যে ভালো করে সেই দ্রবণ যাতে লাগতে পারে, তাই সেই সুতাকে বারবার দ্রবণে লেপে নেয়া হয়। এরপর সুতা শুকিয়ে নিয়ে নাটাই-এ প্যাঁচিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা