মহাবোধি সোসাইটি হল সিংহলি বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক অনাগরিক ধর্মপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি দক্ষিণ এশীয় বৌদ্ধ সংগঠন। এই সংগঠনটির স্বকৃত দাবি অনুসারে ভারতে বৌদ্ধধর্ম পুনরুজ্জীবিত করা এবং বুদ্ধগয়া, সারনাথ এবং কুশীনগরে অবস্থিত বৌদ্ধ উপাসনালয়গুলির সংস্কার করাই হল সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।[১]

উদ্ভব সম্পাদনা

১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে একবার তীর্থভ্রমণার্থ বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দিরে আগমন করেন সিংহলি বৌদ্ধ ভিক্ষু অনাগরিক ধর্মপাল। সেখানে উপনীত হয়ে তিনি আবিষ্কার করেন যে অধুনা সংস্কারপ্রাপ্ত মহাবোধি মন্দিরটি সম্পূর্ণ শৈব পুরোহিতগণের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং ভগবান বুদ্ধের উপাসনার পরিবর্তে তৎস্থলে ব্রাহ্মণ্য ধর্মানুসারে পূজার্চনা অনুষ্ঠিত হয়। এই দৃশ্য দর্শনমাত্র তিনি অত্যন্ত বিস্মিত এবং মর্মাহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি একটি আন্দোলন গড়ে তোলেন।[২] অনাগরিক ধর্মপাল কর্তৃক প্রবর্তিত এই বৌদ্ধ নবজাগরণ বহুক্ষেত্রে রক্ষণশীল আখ্যায়িত হয়েছে কারণ ভারতে বৌদ্ধধর্মের অবলুপ্তির কারণ হিসেবে তিনি মুসলিম শাসনকে দায়ী করেছেন।[৩]

১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে কলম্বোয় প্রতিষ্ঠিত হয় মহাবোধি সোসাইটি। কিন্তু এর পরের বছরেই অর্থাৎ ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠনটির মূল কার্যালয় কলম্বো থেকে স্থানান্তরিত হয় কলকাতায়। সেইসময় মহাবোধি সোসাইটির মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল বুদ্ধগয়ায় অবস্থিত মহাবোধি মন্দিরের পুনরুদ্ধার করা।[৪][৫] এই কার্য সম্পাদন করার লক্ষ্যে ধর্মপাল আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং বহু শতাব্দী ধরে মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রক ব্রাহ্মণ পুরোহিতগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।[৪][৫] এইভাবে সুদীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে অনাগরিক ধর্মপাল তার লক্ষ্যে সফল হন এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণাধিকার লাভ করেন।[৪][৫]

মহাবোধি মন্দির সম্পাদনা

মূল নিবন্ধ : মহাবোধি মন্দির

সারনাথ সম্পাদনা

মূল নিবন্ধ : সারনাথ

কুশীনগর সম্পাদনা

মূল নিবন্ধ : কুশীনগর

নেতৃত্ব সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মহাবোধি সোসাইটি"। ১৫ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০০৯ 
  2. Sean O'Reilly, James O'Reilly, Pilgrimage: Adventures of the Spirit, Travelers' Tales, 2000,আইএসবিএন ১-৮৮৫২১১-৫৬-২ পৃষ্ঠা ৮১-৮২
  3. "A Close View of Encounter between British Burma and British Bengal" (পিডিএফ)। ১৬ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০০৫ 
  4. Arnold Wright, Twentieth Century Impressions of Ceylon: its history, people, commerce, industries, and resources, "Angarika Dharmapala", Asian Educational Services, 1999, আইএসবিএন ৮১-২০৬-১৩৩৫-X pg.119
  5. C. J. Bleeker, G. Widengren, Historia Religionum, Volume 2 Religions of the Present: Handbook for the History of Religions, Brill Academic Publishers, 1971, আইএসবিএন ৯০-০৪-০২৫৯৮-৭ pg. 453

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা