পার্সেপোলিস

(পার্সেপলিস্‌ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

পার্সেপোলিস দ্বিতীয় ইরানি শাসক বংশ অ্যাকামেনিড সাম্রাজ্রের রাজধানী। এটি শিরাজ শহর থেকে প্রায় ৭০ কিমি উত্তরপূর্বে অবস্থিত। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দিতে মহামতি আলেকজান্ডার পারস্য জয়ের পর এই শহর ধ্বংস করে দেন। ইউনেস্কো ১৯৭৯ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে। [১]

পার্সেপলিস / Persepolis
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: ১ম, ৩য়, ৬ষ্ঠ
সূত্র১১৪
তালিকাভুক্তকরণ১৯৭৯ (৩য় সভা)

নির্মাণ সম্পাদনা

প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন থেকে দেখা যায় পার্সেপলিস স্থাপন শুরু হয় খ্রিস্ট্রপূর্ব ৫১৫ সালে। আন্দ্রে গোদার্দ ফরাসি প্রত্নতত্তবিদ ১৯৩০ সালে পার্সেপলিস খনন করেন। ধারণা করা হয় সম্রাট সাইরাস মহান কুরুশ–এর আমলে পার্সেপেলিসের ভিত্তি সুচিত হয় কিন্তু প্রথম দারিয়ুস (Daryush) –এর আমলে প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়।

দারিয়ুস আপাদান প্রাসাদ ও পর্ষদ হল, রাজকোষ ও সীমানা নির্মাণের আদেশ দেন। যা তার সন্তান রাজা মহান জারজেস (Khashayar) এর আমলে শেষ হয়। যা পরবর্তীতে অ্যাকামেনিড সাম্রাজ্য ধ্বংসের আগ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে।

আলেকজান্ডার এবং পার্সেপলিস্‌ সম্পাদনা

মিশর জয়ের পর আলেকজান্ডার আরো পূর্বে আসরিয়ার (বর্তমানে উত্তর ইরাক) দিকে অভিযান করেন। সেখানে দারিয়ুস এর নেতৃত্বে গাউগামেলার যুদ্ধে তৃতীয় পারস্য সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। যুদ্ধে দারিয়ুসের রথের সারথীর মৃত্যু বরণ করলে দারিয়ুস আবার পালাতে থাকেন এবং আলেকজান্ডার তাকে আরবেলা পর্যন্ত ধাওয়া করেন। দারিয়ুস ইকবাটানা পাহাড়ে আশ্রয় নিলে আলেকজান্ডার ব্যাবিলনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ব্যাবিলন থেকে আলেকজান্ডার অন্যতম অ্যাকামেনিড রাজধানী সুসাতে যান এবং এর কোষাগার দখল করেন। সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ রয়েল রোড হয়ে পারস্যের রাজধানী পার্সেপলিস্‌ পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে, নিজে দ্রুত পারস্য দরজা দখল করেন (আধুনিক জাগরস্‌ পর্বতে) এবং তারপরই দ্রুত পার্সেপলিস্‌ এর রাজকোষ লুট হবার আগেই সেখানে চলে যান। এর পরবর্তি কয়েক মাস আলেকজান্ডার সেনাবাহিনীকে পার্সেপলিস্‌ লুট করতে দেন। এসময় পার্সেপলিসের পূর্ব দিকের প্রাসাদ যেরসেক্সে আগুন লেগে তা পুরো শহরে ছড়িয়ে যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. UNESCO World Heritage Centre (২০০৬)। "Pasargadae"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১০