নাসরীন পারভীন হক (১৮ নভেম্বর ১৯৫৮ - ২৪ এপ্রিল ২০০৬) ছিলেন বাংলাদেশের একজন মানবাধিকার নেত্রী এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।[১][২] তিনি ২০০৩ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ছিলেন।[৩]

নাসরীন পারভীন হক

জীবন ও কর্ম সম্পাদনা

নাসরীন ১৯৫৮ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার পিতার নাম মোহাম্মদ রফিকুল হক যিনি ছিলেন একজন প্রকৌশলী ও মাতার নাম জাহেদা খানম যিনি কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বাবা-মায়ের শেষ সন্তান। বড় ভাই হাসান মোস্তফা হক স্থপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মেজভাই শামীম হক প্রকৌশলী; তিনি এখন আমেরিকার হিউস্টনে কর্মরত আছেন। বড় বোন শিরিন হক সমাজকর্মী এবং ডাঃ জাফরুল্লাহ'র স্ত্রী। নাসরীন হকের ডাকনাম হ্যাপি; তবে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন এবং তার স্বামী তাকে হ্যাপন নামে ডাকতেন।

নাসরীন হক ঢাকার হলিক্রস স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাশ করেন। এর পর পরই ১৯৭৬ সালে তিনি আমেরিকায় চলে যান। আমেরিকায় ডালাস শহরের উপকণ্ঠে হোকাডে স্কুলে পড়াশোনার পর বেইলর কলেজ অফ মেডিসিনে ইন্টার্নশিপ শেষ করেন।

বড় দুই ভাইয়ের মত প্রকৌশল বা স্থাপত্যবিদ্যার দিকে না গিয়ে তিনি পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী হন। এ উদ্দেশ্যে তিনি চলে যান স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক-এ এবং সেখান থেকেই স্নাতক শ্রেণীর পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি সান ফ্রান্সিসকোর বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ বার্কলিতে পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকেই মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "নাসরীন স্মৃতি পদক পেলেন তিন নারী ও ক্রিকেট দল"বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. Hall, Andrew (৩০ এপ্রিল ২০০৬)। "Obituary: Nasreen Huq"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "নাসরীন স্মৃতিপদক পেলেন নওগাঁ'র সেই তাসমিনা"জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. "নাসরীন স্মৃতি পদক পেলেন অঞ্জলি, বুলবুলি, ফিরোজা"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৯