দ্য ফিঙ্কলার কোশ্চেন

দ্য ফিঙ্কলার কোশ্চেন (ইংরেজি: The Finkler Question) ব্রিটিশ লেখক, কথাসাহিত্যিক, কলমচী এবং ব্রডকাস্টার হাওয়ার্ড জ্যাকবসন রচিত একটি উপন্যাস যা ২০১০ ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করে।[১] এটি একটি রম্যউপন্যাস। এটি প্রথম রম্য উপন্যাস যা এই পুরস্কার লাভ করলো। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে বুকার পুরস্কার নামে প্রবর্তিত এই সাহিত্য পুরস্কারের জন্য ইতিপূর্বে কোন রম্যউপন্যাস বিবেচনা করা হয় নি। ১২ অক্টোবর ২০১০ লন্ডনে এ পুরস্কার ঘোষণা ঘোষণা করা হয়। হাওয়ার্ড জ্যাকবসনের বিভিন্ন গ্রন্থের মূল উপজীব্য ইহুদী হওয়ার সুবিধা ও বিড়ম্বনা। এ গ্রন্থটিও ব্যতিক্রম নয়।

দ্য ফিঙ্কলার কোশ্চেন
লেখকহাওয়ার্ড জ্যাকবসন
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
ধরনহাস্যরসাত্মক উপন্যাস
প্রকাশকব্লুমসবারি
মিডিয়া ধরনপ্রিন্ট (শক্ত প্রচ্ছদ এবং পেপারব্যাক)

কাহিনী সংক্ষেপ সম্পাদনা

দ্য ফিঙ্কলার কোশ্চেন উপন্যাসে তিনটি প্রধান চরিত্রের মধ্যে একজন জুলিয়ান ট্রেসলাভ। সে বিবিসির সাবেক শিল্প প্রযোজক, বর্তমানে চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত। সে ইহুদি নয়, এমনকি ধার্মিকও নয় ; তবু মনে মনে সে ইহুদি হওয়ার ইচ্ছা লালন করে। তার দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যে একজন স্যাম ফিঙ্কলার এবং অন্যজন লিবর সেভিচ। এ দু'জনই ইহুদি। জুলিয়ান ট্রেসলাভের স্কুলের বন্ধু স্যাম ফিঙ্কলার এবং স্যাম ও জুলিয়ানের প্রাক্তন শিক্ষক লিবর সেভিচ। পরে স্যাম ফিঙ্কলার একজন দার্শনিক এবং ব্রডকাস্টার হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। অন্যদিকে লিবর একজন প্রাক্তন শোবিজ সাংবাদিক। সম্প্রতিকালে দু'জনেই বিপত্নীক। এদের বৈশিষ্ট্য হলো দুজনেই স্ব স্ব পরিমণ্ডলের বাইরেও উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে সক্ষম।

চেক বংশোদ্ভূত লিবর বিয়ের পর অনেক বছর স্ত্রী মালকির সঙ্গে ঘর-সংসার করেছে। তাদের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখ-শান্তিতে পরিপূর্ণ। মালকি শুধু ভালো গৃহিনীই ছিল না সে ছিল ভালো পিয়ানোবাদক। আশি বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর স্মৃতিকে লিবর এমনভাবে তার ফ্ল্যাটে সাজিয়ে রেখেছে যে দেখলে মনে হবে মালকি এখনও জীবিত। সে রোমান্টিক, আবেগপ্রবণ এবং কেতাদুরস্ত ইউরোপীয়।

অন্যদিকে ফিঙ্কলার তার স্ত্রীবিয়োগের পর থেকে দুঃখ-কষ্টকে বুকের ভেতর চেপে রেখেছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যায় অল্প বয়সে। ফিঙ্কলার একজন কামুক, ইতর মনের মানুষ, উদ্ধত এবং এক কথায় খাঁটি ব্রিটিশ বলতে যা বোঝায় আর-কি।

অন্যদিকে ট্রেসলাভ তার স্বভাবী কারণে জন্য কোনো রমণীর সাহচর্য অর্জ্জনে সক্ষম হয় নি। তাই ফিঙ্কলার এবং লিবর তাকে 'অনারারি' বিপত্নীক আখ্যা দিয়েছে। ট্রেসলাভ ভাবে ইহুদি হলে তাকে এ আখ্যা পেতে হতো না।

তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু, মাঝে-মধ্যেই একত্রে আড্ডায় বসে। একদিন সন্ধ্যায় তিনজন মিলে লিবরের লন্ডনের ফ্ল্যাটে ডিনার খাচ্ছিলেন। সে সময় তারা অতীত জীবন নিয়ে গাল-গল্পে মেতে উঠেছিল। ট্রেসলাভ অন্য দু'জনের জীবনের দুঃখজনক ঘটনাবলি শুনে বিমর্ষ বোধ করে। মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে সে দেখে, বেহালা বিক্রির দোকানের চেনা লোকটিকে কারা যেন আক্রমণ করেছে। এ ঘটনা দেখার পর তার মনে প্রশ্ন জাগে, সে কে এবং কেন? শেষ পর্যন্ত এ প্রশ্নটাই ট্রেসলাভরের জীবনকে সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়।

নিজের জীবন নিয়ে তার মনোমধ্যে যে ক্ষোভ-দুঃখ ছিল তা উবে যেতে থাকে। সে ভাগ্যের সঙ্গে নিজের ইচ্ছাকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

সমালোচনা সম্পাদনা

ম্যান বুকার পুরস্কার কমিটির প্রধান বিচারক কবি অ্যান্ড্রু মোশন এ বইটি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, "খুব হাস্যরসাত্মক হওয়ার পরও বইটিতে অনেক বুদ্ধি-বিবেচনা, বিরহ ও নিগূঢ় বিষয় নিহিত রয়েছে"। [২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Brown, Mark (October 12, 2010). "Howard Jacobson wins Booker prize 2010 for The Finkler Question", The Guardian. Retrieved October 12, 2010.
  2. "আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ"। ১২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

বাংলা সম্পাদনা

ইংরেজি সম্পাদনা

পুরস্কার
পূর্বসূরী
উলফ হল
ম্যান বুকার পুরস্কার প্রাপক
২০১০
উত্তরসূরী