তৃতীয় ক্রুসেড (১১৮৯ - ১১৯২), রাজাদের ক্রুসেড[১] বলা হয়, যা ছিল ইউরোপীয় নেতাদের পুনরায় পবিত্র ভূমিকে সালাদিনের কাছ থেকে দখল করার একটা চেষ্টা। অভিযানটি সফল হয় এবং আক্রে ও জাফার মত গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করা হয়। কিন্তু ক্রুসেডের মূল লক্ষ্য জেরুসালেম দখল করতে পারেনি। এবং তাদের শোচনীয় ভাবে পরাজগ বরণ করতে হয়। [২]

ইউরোপীয় রাজ়াদের জ়েরুজ়ালেম দখল করার লক্ষে সৈন্য নিয়ে যাত্রা

দ্বিতীয় ক্রুসেডের পর জেঙ্গিদ রাজবংশ একত্রিত সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ লাভ করে এবং মিশরের ফাতিমী শাসকদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ায়। মিশরীয় ও সিরীয় সেনাবাহিনী পরিশেষে সালাদিনের অধীনে একত্রিত হয়। সালাদিন ১১৮৭ সালে খ্রিস্টান রাষ্ট্রসমূহের দখলদারিত্ব কমাতে এবং জেরুসালেম পুনরুদ্ধার করতে তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করে। ইসলামী শাসনকে নির্মুল করতে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় হেনরি ও ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে নতুন ক্রুসেডে যোগদান করে। ১১৮৯ সালে হেনরির মৃত্যুর পর ইংরেজরা তার উত্তরাধিকার রাজা প্রথম রিচার্ডের অধীনে যুদ্ধ করে। বর্ষীয়ান জার্মান সম্রাট ফ্রেডেরিক বারবারোসাও যুদ্ধে শরিক হতে বৃহৎ সেনাবাহিনী নিয়ে আনাতোলিয়া হয়ে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু সালাউদ্দিনের অত্যন্ত প্রখর সমরনীতির কারণে পবিত্র ভূমিতে পৌঁছার পূর্বেই ১১৯০ সালের ১০ জুন এশিয়া মাইনরের কাছে একটি নদীতে তার সলিল সমাধি হয়। তার মৃত্যুর পর জার্মান ক্রুসেডাররা আশা হারিয়ে ফেলে এবং বেশিরভাগ সৈন্যদল দেশে ফিরে যান।

আরও পড়ুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Third Crusade"World History Encyclopedia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯ 
  2. https://www.ancient.eu/Third_Crusade/