টার্বো কোড

বহুমাত্রিক সংকেত

টার্বো কোড ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত (যদিও এর কাজ শেষ হয়েছিল ১৯৯১ সালে) নতুন কোডিং সিস্টেম যা শ্যনন ধারণ ক্ষমতার খুব কাছাকাছি তথ আদান-প্রদান করতে সক্ষম। ফ্রান্সের টেলিকম ব্রিটান ইউনিভার্সিটি'র একজন ইলেকট্রিশিয়ান ক্লদ বেরু এটি আবিষ্কার করেন, যদিও এর তাত্ত্বিক প্রমাণের জন্য তিনি অন্য দুজন ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য নিয়েছিলেন।

কীভাবে কাজ করে সম্পাদনা

 
টার্বো কোড এনকোডার

বেসিক টার্বো কোড দুইটি ক্লাসিক কনভলুশনাল কোডার ( নিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু এই দুটি কোডার সমান্তরালে থাকে। মেসেজ k (=k1,k2,...kn) বিটগুলো প্রথম এনকোডার এর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে r1(=r11,r12,...r1n)প্যারিটি বিট তৈরি করা হয়। এরপর k বিটগুলো একটি ইন্টারলিভার দ্বারা সম্পূর্ণ নতুনভাবে বিন্যস্ত করে দ্বিতীয় একটি এনকোডারে প্রবেশ করানো হয় এবং দ্বিতীয় একটি প্যারিটি বিট সেট r2(=r21,r22,...r2n) তৈরি করা হয়। টার্বো কোডের সাফল্য এই ভিন্নতার উপর নির্ভর করে। দুটি প্যারিটি বিট সেট যত ভিন্ন হবে, টার্বো কোডে ডিকোড করার সময় বিট এরর রেটের মান তত কম হবে। যেহেতু টার্বো কোডে সিস্টেমটিক, সেহেতু মেসেজ k বিটগুলোকেও সম্পূর্ণ আউটপুটের অংশ হতে হয়। টোটাল আউটপুট মেসেজ হচ্ছে k+r1+r2 (=k1,k2,...kn,r11,r12,...r1n,r21,r22,...r2n)। চিত্রে ছবির সাহায্যে বেসিক টার্বো কোড দেখান হোল। আরও বেশি কনভলুশনাল কোডার এবং ততোধিক ইন্টারলিভার দ্বারা আরও জটিল টার্বো কোড তৈরি করা যায়।

উল্লেখ্য যে কনভলুশনাল কোডার গুলো রিকারসিভ এবং সিস্টেম্যাটিক কনভলুশনাল কোডার হতে হবে ।