চন্দনযাত্রা একটি হিন্দু উৎসব। এই উৎসবটি বিশেষত জগন্নাথের সঙ্গে যুক্ত। প্রতি বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে। সমগ্র উৎসবটি চলে ৪২ দিন ধরে। প্রথম ২১ দিন প্রতিদিন প্রধান দেবতাদের প্রতিনিধিমূর্তি সহ পঞ্চপাণ্ডব নামে পরিচিত পাঁচটি শিবলিঙ্গ সুসজ্জিত করে শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বার থেকে নরেন্দ্র তীর্থ জলাধার অবধি নিয়ে যাওয়া হয়।[১] বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানের পর দেবতাদের একটি সুসজ্জিত রাজকীয় নৌকায় চাপিয়ে সান্ধ্যভ্রমণের জন্য জলাশয়ে ভাসানো হয়। শেষ ২১ দিনের যাবতীয় অনুষ্ঠান অবশ্য মন্দিরের ভিতরেই হয়ে থাকে।

জগন্নাথের চন্দনা বেশ
নরেন্দ্র তীর্থ ট্যাঙ্ক যেখানে বাহার চন্দনার অনুষ্ঠান হয়

নবদ্বীপে চন্দনযাত্রা সম্পাদনা

পূর্বে বৈশাখী পূর্ণিমায় নবদ্বীপের অধিকাংশ ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় চন্দন যাত্রা উৎসব। চন্দন মাখিয়ে বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হত গঙ্গার ঘাটে। মনিপুরের অনুমহাপ্রভুর মন্দিরে, বড়ো আখড়ায়, ছোট আখড়ায়, কদমতলা ঘাটে মাধব দাস বাবাজির আশ্রামে এবং বাগচীপাড়ায় মন্টু বাবাজি ও মৌনিবাবার আশ্রামে চন্দন যাত্রা মহাসমারহে হতো। বর্তমানে একমাত্র সমাজবাড়িতে এর প্রচলন আছে। ভক্তদের মতে সমাজবাড়ি তে এর প্রচলন করেন ললিতা সখী।
ব্রজলীলা অনুসারে বৈশাখী ত্রয়োদশী থেকে বুদ্ধ-পূর্ণিমা পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় চন্দনযাত্রা।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Details of Chandan Yatra"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০০৯ 
  2. নবদ্বীপের ইতিবৃত্ত পৃ. ১৪৩