গ্র্যান্ড ফ্লিট বলতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ব্রিটিশ রয়েল নেভির প্রধান নৌবহরটিকে বোঝানো হয়ে থাকে।

গ্র্যান্ড ফ্লিট
গ্র্যান্ড ফ্লিটের যুদ্ধজাহাজ সমূহ
সক্রিয়১৯১৪-১৯১৯
দেশযুক্তরাজ্য
আনুগত্যব্রিটিশ সাম্রাজ্য
শাখাব্রিটিশ রয়েল নেভি
ধরননৌ বহর
আকার~১৫০টি নৌযান
যুদ্ধসমূহজাটল্যান্ডের যুদ্ধ
কমান্ডার
সর্বাধিনায়ক
১৯১৬-১৯১৬
স্যার জন জেলিকো
সর্বাধিনায়ক
১৯১৬-১৯১৯
স্যার ডেভিড বিটি

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯১৪ সালে ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর ব্রিটিশ আটলান্টিক নৌ বহরকে হোম ফ্লিট নামক নৌ বহরের সাথে সংযুক্ত করে ৩৫-৪০টি প্রধান যুদ্ধ জাহাজের সমন্বয়ে গ্র্যান্ড ফ্লিট গঠিত হয়। শুরুতে এই নৌ বহরের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাডমিরাল স্যার জন জেলিকো। পরে অপর অ্যাডমিরাল স্যার ডেভিড বিটি গ্র্যান্ড ফ্লিটের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অসম্পূর্ণ জাটল্যান্ড যুদ্ধ ছিল গ্র্যান্ড ফ্লিটের অংশ নেয়া একমাত্র নৌ যুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর্দা অবনমনের পর গ্র্যান্ড ফ্লিটকে ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং এর উপাদান সমূহ ব্যবহার করে অন্যান্য আটলান্টিক নৌ বহরের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়।

যুদ্ধের ক্রম সম্পাদনা

যুদ্ধ চলাকালে গ্র্যান্ড ফ্লিটের সম্পূর্ণ শক্তি কখনওই প্রয়োগ করা হয়নি। বহরটির অনেক জাহাজকেই যুদ্ধে একত্রে অংশ নেয়া থেকে বিভিন্ন কারণে বিরত রাখা হয়েছিল; যেমন একটি কারণ হচ্ছে সময় অনুযায়ী বিভিন্ন জাহাজকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিরত রাখা হত। অপর দিকে নৌ বহরটির শক্তি ও জাহাজের সংখ্যাও স্থির ছিলনা কেননা যুদ্ধে অংশ নিয়ে কিছু নৌযান ধ্বংসপ্রাপ্ত হত ও সেগুলোর বদলে নতুন জাহাজ নির্মাণ করে বহরে যোগ করা হত। তবে সময়ের সাথে নৌ বহরটির বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছিল কেননা ব্রিটিশ নৌ বাহিনী জার্মান নৌ বাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলছিল।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা