গোবেকলি তেপে

তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব আনাতোলিয়া অঞ্চলে শানলিউরফা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি (৭ মা) উত্তরপূর্বে অবস

গোবেকলি তেপে (তুর্কি: [ɟœbecˈli teˈpe],[১] তুর্কি ভাষায় "লম্বোদর পাহাড়" শব্দের প্রতিশব্দ)[২] হল তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব আনাতোলিয়া অঞ্চলে শানলিউরফা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি (৭ মা) উত্তরপূর্বে অবস্থিত একটি প্রত্নক্ষেত্র। টেলটির উচ্চতা ১৫ মি (৪৯ ফু) এবং ব্যাস প্রায় ৩০০ মি (৯৮০ ফু)।[৩] এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৬০ মি (২,৪৯০ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত।

গোবেকলি তেপে
গোবেকলি তেপের ধ্বংসাবশেষ
গোবেকলি তেপে তুরস্ক-এ অবস্থিত
গোবেকলি তেপে
তুরস্কে অবস্থান
গোবেকলি তেপে নিকট প্রাচ্য-এ অবস্থিত
গোবেকলি তেপে
তুরস্কে অবস্থান
গোবেকলি তেপে পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগর-এ অবস্থিত
গোবেকলি তেপে
তুরস্কে অবস্থান
অবস্থানওরেনসিক, শানলিউরফা প্রদেশ, তুরস্ক
স্থানাঙ্ক৩৭°১৩′২৩″ উত্তর ৩৮°৫৫′২১″ পূর্ব / ৩৭.২২৩০৬° উত্তর ৩৮.৯২২৫০° পূর্ব / 37.22306; 38.92250
ধরনপবিত্র স্থান (সনাতন টেম্পল)
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিতখ্রিস্টপূর্ব দশম সহস্রাব্দ
পরিত্যক্তখ্রিস্টপূর্ব অষ্টম সহস্রাব্দ
সময়কালপ্রাক্‌-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তর যুগ ক থেকে
স্থান নোটসমূহ
অবস্থাসুসংরক্ষিত
প্রাতিষ্ঠানিক নামগোবেকলি তেপে
ধরনসাংস্কৃতিক
মানক(i), (ii), (iv)
অন্তর্ভুক্তির তারিখ২০১৮ (৪২তম অধিবেশন)
রেফারেন্স নং১৫৭২
স্টেট পার্টিতুরস্ক
অঞ্চলপশ্চিম এশিয়া

টেল অংশটির মধ্যে ব্যবহারের দু’টি পর্যায় দেখা যায়। প্রত্নক্ষেত্রটির আবিষ্কর্তা ও খননকারী ক্লস স্কিমিট মনে করেন, এই পর্যায় দু’টি খ্রিস্টপূর্ব দশম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের সামাজিক বা অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত পর্যায়।[৪] প্রথম পর্যায়টি প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগ ক (প্রামৃনক) পর্যায়কালের অন্তর্গত। এই সময়ে ইংরেজি টি-আকৃতিবিশিষ্ট (T) প্রকাণ্ড প্রস্তরস্তম্ভের বৃত্ত নির্মিত হয়েছিল, যেগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম জ্ঞাত মেগালিথ[৫]

ভূপদার্থবৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ২০টি বৃত্তে ২০০টিরও বেশি স্তম্ভ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটি স্তম্ভের উচ্চতা ৬ মি (২০ ফু) পর্যন্ত এবং ওজন ১০ টন পর্যন্ত। এগুলি বেডরকের মধ্যে কেটে বানানো কৃত্রিম গর্তের মধ্যে বসানো হয়েছিল।[৬] দ্বিতীয় পর্যায়টি প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগীয় খ (প্রামৃনখ) পর্যায়কালের অন্তর্গত। এই সময় যে স্তম্ভগুলি নির্মিত হয়েছিল সেগুলি তুলনামূলকভাবে ছোটো এবং পালিশ-করা চুনের মেঝে-যুক্ত আয়তাকার ঘরের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিল। সেই যুগপর্যায়ের পর এই প্রত্নক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার নবীন স্থাপনাগুলি ধ্রুপদি যুগে নির্মিত।

এই স্থাপনাগুলি কী কাজে লাগত, তার বিবরণ রহস্যাবৃত। ১৯৯৬ সাল থেকে জার্মান আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এখানে খননকার্য চলছে। কিন্তু এখানকার একটি বড়ো অংশে এখনও খননকার্য চালানো হয়নি। ২০১৮ সালে এই প্রত্নক্ষেত্রটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।[৭]

আবিষ্কার সম্পাদনা

 
গোবেকলি তেকে প্রত্নস্থল (১)

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. "Göbekli Tepe"। Forvo Pronunciation Dictionary। 
  2. "History in the Remaking"। Newsweek। ১৮ ফেব্রু ২০১০। 
  3. Klaus Schmidt (2009): Göbekli Tepe - Eine Beschreibung der wichtigsten Befunde erstellt nach den Arbeiten der Grabungsteams der Jahre 1995–2007. In: Erste Tempel - Frühe Siedlungen. 12000 Jahre Kunst und Kultur. Oldenburg, p. 188.
  4. Curry, Andrew (নভেম্বর ২০০৮)। "Göbekli Tepe: The World's First Temple?"। Smithsonian Institution। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  5. Sagona, Claudia। The Archaeology of Malta (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 9781107006690। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. Curry, Andrew (নভেম্বর ২০০৮)। "Gobekli Tepe: The World's First Temple?"। Smithsonian.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২, ২০১৩ 
  7. Centre, UNESCO World Heritage। "Göbekli Tepe"whc.unesco.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-০১ 

সূত্রনির্দেশ সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

নিবন্ধ সম্পাদনা

আলোকচিত্র সম্পাদনা

  • "The Birth of Religion"National Geographic। জুন ২০১১। ২৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৯ 

ভিডিও সম্পাদনা

টেমপ্লেট:তুরস্কের প্রাচীন জনবসতি

টেমপ্লেট:মধ্যপ্রাচ্যের মেগালিথ