কার্বন ফাইবার

আনুমানিক ৫-১০ মাইক্রোমিটার ব্যাসের কার্বন গঠিত তন্তু

কার্বন ফাইবার বা গ্রাফাইট ফাইবার বা কার্বন গ্রাফাইট হল কার্বন অণুর ৫ থেকে ১০ মাইক্রোমিটার ব্যাসের সূক্ষ্ম তন্তু। ফাইবারে কার্বন অণুগুলো স্ফটিক আকারে প্রায় সমান্তরাল ও লম্বভাবে ভাবে বিন্যাসিত থাকে। কার্বন স্ফটিক গুলো লম্বালম্বিভাবে বিন্যস্ত থাকায় ওজনের অনুপাতে ফাইবারগুলো বেশ শক্তিশালী হয়। কার্বন ফাইবারের একটি আঁশ বা সুতা বানাতে কয়েক হাজার তন্তু একসারিতে পাকিয়ে বা জোড়া দিয়ে বোনার উপযোগী সুতা বানানো যায়।

কার্বন তন্তু দিয়ে বোনা কাপড়।

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

কার্বন ফাইবারের কয়েকটি প্রধান ধর্ম হল নিম্নরূপ:- (১) এটি একটি শক্তিশালী ও হালকা তন্তু। (২) এই তন্তুটি উচ্চ তাপ ও চাপ সহ্য করতে পারে। (৩) এটি প্রসারনশীল তন্তু ।

অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সাথে বিক্রিয়া না করার কারণে বায়বান্তরীক্ষ, গাড়ি নির্মাণ শিল্প, বাস্তুবিদ্যা, সামরিক যন্ত্রপাতি শিল্প এবং ক্রীড়া শিল্পে কার্বন তন্তুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে।[১]

সাধারণত একটি সংযুত বা কমপোজিট পদার্থ তৈরী করার জন্য কার্বন তন্তুর সাথে অন্যান্য পদার্থের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়। সাধারণত আরও শক্ত ও শক্তিশালী কম্পোজিট পদার্থ তৈরীর জন্য একে প্লাস্টিক রেজনের সাথে একত্রিত করা হয়। এই নতুন ধরনের যৌগিক পদার্থকে বলা হয় কার্বন ফাইবার রিইনফোর্সড ম্যাটেরিয়াল (একে কার্বন ফাইবারও বলা হয়ে থাকে)। এই রিইনফোর্সড ম্যাটেরিয়াল অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। ভর ও শক্তির অনুপাতে এই পদার্থ ইস্পাতের তুলনায় তিন গুন শক্তিশালী।

বিবরণ সম্পাদনা

ব্যবহার সম্পাদনা

২০০৯ সালে সারা বিশ্বে কার্বন তন্তুর চাহিদা ছিল প্রায় ১০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর পরের বছর এর চাহিদা ৮-১০ শতাংশ কমে গেলেও ২০১২ সালে এর চাহিদা ছিল প্রায় ১৩.২ বিলিয়ন এবং ধারণা করা হচ্ছে যে ২০১৫ সাল নাগাদ এর চাহিদার প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় ৭% এবং মোট চাহিদা প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। মূলত বিমান, বায়ুকল ও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোই হল কার্বন তন্তুর অন্যতম গ্রাহক।[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "High Performance Carbon Fibers"National Historic Chemical Landmarks। American Chemical Society। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৫, ২০১৩ 
  2. "Market Report: World Carbon Fiber Composite Market"Market Intelligence  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা