ইরানে লিঙ্গপরিবর্তন

ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের আগে লিঙ্গপরিবর্তন প্রবণতা সরকার স্বীকার করেনি।আশির দশকের মাঝামাঝিতে সরকার লিঙ্গপরিবর্তনকারীদের স্বীকার করে ও তাদের শল্যচিকিৎসার অণুমোদন দেয়।২০০৮ সালের মধ্যে ইরান বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি এ জাতীয় শল্যচিকিৎসা করে একমাত্র থাইল্যান্ডই শুধু তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকে।যাদের সাহায্য প্রয়োজন তাদেরকে সরকার অর্ধেক টাকা দেয় শল্যচিকিসাৎর জন্য ও তা জন্ম সনদে লেখা থাকে। [১]

১৯৭৯ সালের আগে সম্পাদনা

১৯৬৩ সালে ইরানের আয়াতুল্লাহ রহোল্লাহ খোমেনী তার লেখা এক বইয়ে বলেন যে লিঙ্গপরিবর্তন ইসলামবিরোধী নয়।সে সময় আয়াতুল্লাহ ছিলেন যুগান্তকারী, শাহবিরোধী বিপ্লবী এবং তার এই ফতোয়া সে সময়ের রাজকীয় সরকার কোন আমলে নেয় নি ও তাদের এই বিষয়ে কোন নীতি ছিল না । [১]

বিপ্লবের পর সম্পাদনা

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে নতুন ধর্মীয় সরকার আসে যারা লিঙ্গপরিবর্তনকে পুরুষ সমকামী ও স্ত্রী সমকামীদের কাতারে ফেলে এটা নিষিদ্ধ করে ও এর জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখে। লিঙ্গপরিবর্তনের স্বপক্ষে প্রথম প্রচারণা চালান ফেরেয়দুন নামের একজন পুরুষ যিনি মেয়ে হয়ে যান লিঙ্গপরিবর্তন করে মারইয়াম হাতুন মোল্কারা নাম ধারণ করে। বিপ্লবের আগে তিনি মেয়ে হয়ে যান কিন্তু তিনি শল্যচিকিৎসার কোন চেষ্টা করেননি।পরে তিনি ধর্মীয় অণুমোদন চান। ১৯৭৫ সালে থেকে তিনি আয়াতুল্লাহ কাছে বার বার চিঠি লিখতে থাকেন যিনি ঐ বিপ্লবের নেতা ছিলেন ও নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিপ্লবের পর তিনি চাকরিচ্যুত হন ও তাকে জোর করে হরমোন ইঞ্জেকশন দেয়া হতে থাকে।তিনি কারারুদ্ধও হন। পরে তিনি মুক্তিপান তার পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ও লবিং চালাতে থাকেন নেতাদের কাছে।তিনি খোমেনীর সাথে দেখা করতে যান। তখন তার রক্ষীরে তাকে থামান ও মারতে থাকে। পরে আয়াতুল্লাহ তাকে এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টির বৈধতা দান করেন। এ ধরনের শল্যচিকিৎসার পক্ষে ফতোয়া হিসেবে চিঠিটিকে চিহ্নিত করা হয়। [২] কিছু অল্প সংখ্যক ইরানিয়ান বলে থাকেন যে সমকামীরা তাদের বৈধ জীবন কাটানোর জন্য এ ধরনের ব্যাপার ঘটায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://news.bbc.co.uk/2/hi/7259057.stm
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা