ইরানের চলচ্চিত্র

ইরানী চলচ্চিত্র

ইরানের চলচ্চিত্র অনেক দিনে তিল তিল করে গড়ে উঠেছে। ইরানে প্রতি বছরই জনপ্রিয় ধারার প্রচুর সিনেমা তৈরি হয়, অন্যদিকে দেশটির শৈল্পিক চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। যেমন, ২০১২ সালে ইরানে নির্মীত চলচ্চিত্র এ সেপারেশন (চলচ্চিত্র) সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে অ্যাকাডেমি পুরস্কার তথা অস্কার অর্জন করে,[১] ইরানের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্রকার আব্বস কিয়রোস্তামি কান চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বোচ্চ পুরস্কার পাম দোর অর্জন করেছেন তার "টেস্ট অফ চেরি" সিনেমার জন্য।

ইরানের চলচিত্র চলাকালীন শুটিং চিত্র।

চীন এবং ইরানকে ১৯৯০-এর দশকের সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র রপ্তানীকারী দেশগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।[২] বর্তমানে অনেক চলচ্চিত্র সমালোচক ইরানি চলচ্চিত্রকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় চলচ্চিত্রের একটি মনে করেন, একে অনেক সময় তুলনা করা হয় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদের মত পুরনো চলচ্চিত্র আন্দোলনগুলোর সাথে। অস্ট্রীয় চলচ্চিত্রকার মিখায়েল হানেকে এবং জার্মান চলচ্চিত্রকার ভের্নার হেরৎসগ ইরানি সিনেমাকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শৈল্পিক সিনেমাগুলোর একটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[৩]

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯০০ সালের ১৮ই আগস্ট প্রথম একজন ইরানি ক্যামেরায় চিত্র ধারণ করেছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে প্যারিস থেকে Gaumont ক্যামেরা কিনে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন মির্জা ইব্রাহিম খান আক্কাসবাসি যিনি ছিলেন রাজ দরবারের চিত্রগ্রাহক। বেলজিয়ামের Ostend এ ইরানের রাজা মুজাফফর আল-দিন শাহ ভ্রমণ এবং ফুলেল সংবর্ধনা ধারণ করা হয়েছিল এতে। একই বছর ইরানে একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়। তাবরিজ শহরে রোমান ক্যাথলিক মিশনারির সদস্যরা যীশু খ্রিস্টের বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যেই এটি নির্মাণ করেছিল।[৪]

বিখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্রকারদের তালিকা সম্পাদনা

অভিনেত্রী সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Oscars 2012: A Separation wins best foreign language film, গার্ডিয়ান
  2. "Abbas Kiarostami: Articles & Interviews"। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১২ 
  3. "The Iranian Cinema: A Dream With No Awakening"। ২১ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১২ 
  4. হামিদ দাবাশি, "Close Up: Iranian Cinema, Past, Present and Future", Verso, ২০০১

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা