আটা

দক্ষিণ এশিয়ার রান্নায় ব্যবহৃত পূর্ণ গমের দানার চূর্ণ

আটা একটি শস্যজাত খাদ্য যা গম চূর্ণ করে প্রস্তুত করা হয়।[১] এটি ময়দার অণুরূপ একটি খাদ্য। আটার একটি অপ্রচলিত বাংলা নাম হচ্ছে গোধুমচূর্ণ। গম চূর্ণ করে আটা প্রস্তুতকালে গমের খোসা প্রচুর পরিমাণে আটার ভেতর রয়ে যায় বলে আটার গুঁড়ার মধ্যে লালাভাস দেখা যায়।

আটা

ইতিহাস সম্পাদনা

 
একটি গমক্ষেত

প্রথমদিক থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ অব্দে মানুষ পাথরের মধ্যে গমের বীজ গুঁড়ো করে আটা তৈরি করতো।[২] রোমানরাই সর্বপ্রথম বীজ থেকে ময়দা তৈরীর মিল কারখানা তৈরি করে। ১৮৭৯ সালে, শিল্পযুগের শুরুর দিকে লন্ডনে সর্বপ্রথম বাষ্পচালিত মিল বসানো হয়।[৩] ১৯৩৯ সালের দিকে কিছু ময়দায় লৌহ, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং রাইবোফ্লাভিন মেশানো শুরু করে। ১৯৯০ এর দিকে ফলিক এসিড যোগ করা শুরু হয়।

ব্যবহার সম্পাদনা

এটি একটি শর্করা জাতীয় খাদ্য। লাল আটায় ক্যালরির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। অন্যদিকে আঁশের পরিমাণ বেশি। ফলে লাল আটার তৈরি রুটি একদিকে পুষ্টিকর অন্যদিকে স্বাস্থ্যসম্মত।[৪] আটার প্রধান ব্যবহার হলো আটা থেকে রুটি ও পরোটা তৈরি করা। বাংলাদেশের যেমন ভাত, ভারতপাকিস্তান ইত্যাদি বহু দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য আটার তৈরী রুটি। এছাড়া আটা দিয়ে নানা রকম পিঠা, বেগুনী ইত্যাদি তৈরী করা হয়।

ময়দা সম্পাদনা

আটা ও ময়দা কার্যত প্রায় একই জিনিস। গম পিষেই ময়দা তৈরী করা হয়। আটা খোসা সহ মেশিনে গুঁড়া করা হয়, ময়দা একটা মেশিনে খোসা ছাড়িয়ে ময়দা তৈরী করা হয়। তবে আটা থেকে ময়দার দাম খানিকটা বেশি। গম থেকে আটা তৈরি করা হয়। সাধারণত রুটি তৈরিতে আটা ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে ঘরোয়া পরিবেশে আটা বেশি ব্যবহৃত হয়। ময়দা দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়- যেমন- পিঠা, কেক, পাউরুটি, রুটি, পরটা ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়। নানরুটি বা তন্দরুটিতে ময়দা ব্যবহার করলে তা ভাল ফোলে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংজ্ঞা দেখুন আটা"। ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  2. [ |date=2010-09-01 }} -Source: Eurasianet.org (2008-12-9); Published 2008-12-14
  3. "The history of flour - The FlourWorld Museum Wittenburg – Flour Sacks of the World"www.flour-art-museum.de (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৮ 
  4. পুষ্টি বিজ্ঞানের কিছু কথা