প্রবেশদ্বার:এলজিবিটি
এলজিবিটিকিউ +
|
এলজিবিটি (বা জিএলবিটি) (ইংরেজি: LGBT বা GLBT) একটি নাম-আদ্যক্ষর। ১৯৯০-এর দশক থেকে এই আদ্যক্ষরটি পূর্বতন "গে কমিউনিটি"-র সংজ্ঞাবাচক নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামগ্রিকভাবে "এলজিবিটি" বলতে বোঝায় "লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার" অর্থাৎ, নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী। মানবজাতির ইতিহাসের প্রায় সমগ্র সময়কাল জুড়ে এলজিবিটি সম্প্রদায় নিন্দিত হয়ে এসেছে। তবে কখনো-কখনো সামাজিক ঔদার্য ও আনুকূল্যও পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রশংসা ও নিন্দা নির্ভর করেছে স্থানভেদে এদের প্রতি বহিঃপ্রকাশের রূপ, সমসাময়িক বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের প্রভাব ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার উপর। তবে অধিকাংশ সমাজে এবং সরকার ব্যবস্থায় এলজিবিটি সম্প্রদায়ের যৌন অভিমুখিতাকে নির্দেশ করে এরকম আচরণকে দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ ভারত এবং বাংলাদেশ (দশ বছরের থেকে শুরু করে আমরণ সশ্রম কারাদণ্ড)সহ দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারা এবং ১৯টি দেশে সমপর্যায়ের ধারা এবং সম্পূরক ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পশুকামিতা প্রকৃতিবিরোধী যৌনাচার হিসেবে শাস্তিযোগ্য ও দন্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ। (এলজিবিটি সমাজ সম্পর্কে আরো পড়ুন)
মৌলিক বিষয়
সমকামিতার জীববৈজ্ঞানিক কারণ সম্বন্ধে বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ উভয়ের নিকট সমভাবে কৌতূহল থাকলেও এখনো পর্যন্ত সমকামপ্রবণতার সুনিশ্চিত জীববৈজ্ঞানিক কার্যকারণ সূত্র আবিষ্কৃত হয় নি। সমকামিতার সাথে বিজ্ঞান বিশেষ করে জীববৈজ্ঞানিক (প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে জীববিজ্ঞান ও যৌন অভিমুখিতা বলা হয়) সম্পর্ক আছে কী নেই, থাকলে কতটুকু আছে - তা নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। একজন মানুষ কেন সমলিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে তার কোনো একক নির্ণায়ক (জিন, হরমোন ইত্যাদি) অদ্যাবধি কোনো গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা সমলিঙ্গের প্রতি যৌনাকর্ষণের পেছনে সামাজিক নির্ণায়ক (social factor) ও জীববৈজ্ঞানিক উভয়বিধ কারণ যুগপৎ সক্রিয়। মানুষের স্বভাব গঠনে ক্রিয়াশীল জিন ও হরমোন এবং সামাজিক নির্ণায়কসমূহ (social factor) মিশ্রিতভাবে এই যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণ করে থাকে বলে বিজ্ঞানীগণ মত দিয়েছেন।
একটি অনুকল্প মতে, অন্ততপক্ষে পুরুষ সমকামী না বিষমকামী হবে তা নির্ধারণ জন্মের পরে পরিবেশ করতে পারে না, করার সম্ভাবনাও দুর্বল। যৌন অভিমুখিতা ব্যাখার ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের তত্ত্বসমূহ বেশ জনপ্রিয়। এতে বংশানুক্রমিক বিষয়ের (genetic factor) জটিল অন্তক্রিয়া সহ মস্তিষ্ক এবং মাতৃগর্ভকালীন প্রাথমিক জীবনের পরিবেশ (early uterine environment) নিয়েও আলোচনা করা হয়। এই বিষয়গুলো জিন, জন্মপূর্বে মার্তৃগর্ভে হরমোন এবং মস্তিষ্কের গঠনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং ব্যক্তির বিষমকামী, সমকামী, উভকামী ও নিষ্কামী যৌন-অভিমুখিতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হয়। বিভিন্ন জীবের মধ্যে বিষমকামিতা দেখা যাওয়ার কারণ বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সহজে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। কারণ যৌন প্রজননের ফলে জীব বংশ বিস্তারের মাধ্যমে তার বংশের ধারা সহজে বজায় রাখতে পারে। সমকামিতার ক্ষেত্রে বংশের ধারা যেহেতু যৌন প্রজননের মাধ্যমে রক্ষিত হয় না, তারপরেও যুগ যুগ ধরে সমকামিতা বিভিন্ন জীবের মধ্যে দেখা যাওয়ার অন্তর্নিহিত কারণ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। যেমন আত্মীয়দের সহায়তা করা (কিন সিলেকশন) এবং শারীরিকভাবে সক্ষম (ইনক্লুসিভ ফিটনেস) বা এমন জিন যা ভালো ও খারাপ দুই রকম প্রভাব ফেলে (অ্যান্টাগনিস্টিক প্লিওট্রপি) এরকম জিনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে সমকামিতা জীবের মধ্যে দেখা যায় বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)জীবনী
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
|
---|
- ... হিম চলচ্চিত্রে যিশুখৃস্টকে একজন সমকামী হিসেবে চিত্রায়ণ করা হয়েছে?
- ... উইলিয়াম শেকসপিয়রের যৌনচেতনায় উভকামিতার আভাস পাওয়া যায়?
বিষয়শ্রেণীসমূহ
বিশেষ নিবন্ধ
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
|
---|
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে এলজিবিটি
ঘেটু পুত্র কমলা এটি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিকল্পনা ও নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক-চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এটি ২০১০-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয় এবং কোনোরূপ কর্তন ছাড়াই ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তির জন্য সরকারি অনুমোদন লাভ করে। এই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় প্রসঙ্গ ব্রিটিশ আমলে ময়মনসিংহ অঞ্চলে ঘেটুশিল্পীদের প্রতি তৎকালীন স্থানীয় জমিদারদের অসামাজিক বালকপ্রীতি । চলচ্চিত্রের ঘেটুপুত্র কমলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশুশিল্পী মামুন।
এটি হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির আগেই ১৯শে জুলাই, ২০১২ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তবে একমাসের জন্যে দেশে ফিরে পুনরায় নিউ ইয়র্ক যাওয়ার আগে ৩০ মে ২০১২ তারিখে তিনি ছবিটি দেখে যেতে পেরেছিলেন। এ সময় তিনি এ চলচ্চিত্রটি টেলিভিশনে মুক্তি না দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের কড়া নির্দেশ দিয়ে যান। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)নির্বাচিত তালিকা
|
---|
আপনি যা করতে পারেন
- এলজিবিটি, এলজিবিটি ব্যক্তির জীবনী, সংক্রান্ত ঘটনা বিষয়ক নতুন মৌলিক নিবন্ধ তৈরি অথবা অন্যান্য উইকিপ্রকল্প হতে অনুবাদ করতে পারেন।
- নিম্নের বিষয়ে এলজিবিটি বিষয়ক টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
- বিদ্যমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
- নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
- এলজিবিটি সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
- নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
- এলজিবিটি সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|এলজিবিটি}}
যুক্ত করতে পারেন।