নিজাম জাদুঘর

নিজাম জাদুঘর
স্থাপিত	১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০০
অবস্থান	পুরানি হাভেলি, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ইন্ডিয়া
ওয়েবসাইট	www.thenizamsmuseum.com

নিজাম জাদুঘর বা এইচইএইচ নিজাম'স মিউজিয়াম হলো ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলাঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদ শহরের পুরানি হাভেলিতে অবস্থিত একটি জাদুঘর। এটি ছিল পূর্বতন হায়দ্রাবাদ রাজ্যের নিজামদের একটি প্রাসাদ।^[১] এই জাদুঘরটিতে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের শেষ নিজাম সপ্তম আসাফ জাহ উসমান আলি খান তার রজতজয়ন্তী উদযাপনে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেগুলো প্রদর্শনী রয়েছে।^[২] তাই এটি মূলত ১৯৩৬ সালে রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শেষ নিজামকে সম্মানিত ব্যক্তিদের দ্বারা উপস্থাপিত স্যুভেনির, উপহার এবং স্মারকের একটি ভান্ডার। এই জাদুঘরে নিজাম শাসিত হায়দ্রাবাদ শহরের প্রায় সকল ল্যান্ডমার্ক বা স্থাননির্দেশক ভবনের রূপার তৈরি নমুনার পাশাপাশি সেগুলোর বিষয়ে উর্দুতে উদ্ধৃতি সহ প্রদর্শিত রয়েছে।^[৩]

ইতিহাস সম্পাদনা

এই জাদুঘরটি ২০০০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে নিজাম ট্রাস্ট কর্তৃক সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

২০১৮-এর চুরি সম্পাদনা

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাদুঘরটি ভারতের জাতীয় সংবাদপত্রের শিরোনামে ওঠে আসে। সেসময় দুজন হায়দ্রাবাদি যুবক জাদুঘরের সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে হীরা জড়ানো একটি সোনার টিফিন বক্স এবং আরও কিছু মূল্যবান জিনিস চুরি করতে সক্ষম হয়েছিল।^[৪]^[৫] তবে দুজনেই শীঘ্রই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং এই ঘটনার পর জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়।^[৬]^[৭]

সংগ্রহ সম্পাদনা

শেষ নিজামের রজতজয়ন্তী উদযাপনের জন্য ব্যবহৃত একটি স্বর্ণের সিংহাসন, হীরা দিয়ে জড়ানো একটি সোনার টিফিন বাক্স, জুবিলি হলের ক্ষুদ্র প্রতিরূপ, মীর ওসমান আলী খানের কাচে খোদাই করা চিত্রকর্ম, মাদার-অফ-পার্ল দিয়ে জড়ানো একটি কাঠের লেখার বাক্স, পালভাঞ্চের রাজার উপস্থাপিত হীরা এবং অন্যান্য মূল্যবান পাথরে খচিত সোনার খঞ্জর, কাস্কেট ও রৌপ্যনির্মিত আতরদান (সুগন্ধি পাত্র), হীরা জড়ানো রুপার কফির কাপ এবং মাহুত সহ রৌপ্য ফিলিগ্রি হাতি, ভগবান কৃষ্ণ খেলার সাথে গাছের রূপার তৈরি প্রতিরূপ প্রদর্শন।^[৮]^[৯]^[১০]

এছাড়াও জাদুঘরে প্রদর্শিত বস্তু হিসেবে একটি ১৯৩০ রোলস-রয়েস, প্যাকার্ড এবং একটি জাগুয়ার মার্ক ভি প্রদর্শনীতে ভিনটেজ গাড়িগুলো রয়েছে।

জাদুঘরে ষষ্ঠ নিজামের পোশাকও রয়েছে যা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় (১৭৬) ফুট লম্বা) বা ওয়ারড্রোবের মধ্যে দিয়ে সবচেয়ে বড় হাঁটা এবং এটির এক ধরণের, একটি ১৫০ বছরের পুরানো ম্যানুয়ালি চালিত লিফট এবং ২০০ বছরের পুরানো ঘোষণার ড্রাম ।

চিত্রশালা সম্পাদনা

নিজাম জাদুঘরে ঘড়ি
সূচিকর্ম সহ মহিলাদের জুতা
নিজাম হায়দ্রাবাদের ফিলিগ্রি বাক্স
নবাব মীর উসমান আলী খানের টুপি ও জুতা
সিলিভার ট্র্যাভ

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

↑ Jafri, Syed Amin। "A Peep into the past"। rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১২।
↑ "Unveiling the past"। The Times of India। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১২।
↑ "Nizam's Museum"।
↑ "Thieves who stole gold tiffin box, cup worth over Rs 100 crore from Nizam Museum arrested"। India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮।
↑ "Nizam's multi-crore gold tiffin box found, thief used it to carry his food"। Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮।
↑ Vudali, Srinath। "Hyderabad Police nabs 2 for theft at Nizam Museum; stolen valuable recovered"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
↑ Nanisetti, Serish (২০১৮-০৯-০৫)। "A museum begging to be burgled"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬।
↑ "Nizam Museum"। Times of India Travel। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬।
↑ Sudhir, Uma। "Thief Used Hyderabad Nizam's Gold Tiffin Box To Eat Every Day: Police"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
↑ Janyala, Sreenivas (২০১৮-০৯-১২)। "Hyderabad: Two held in museum theft case, police say they wanted to get taste of Nizam luxury"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

[1] Jafri, Syed Amin। "A Peep into the past"। rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১২।

[2] "Unveiling the past"। The Times of India। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১২।

[3] "Nizam's Museum"।

[4] "Thieves who stole gold tiffin box, cup worth over Rs 100 crore from Nizam Museum arrested"। India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮।

[5] "Nizam's multi-crore gold tiffin box found, thief used it to carry his food"। Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮।

[6] Vudali, Srinath। "Hyderabad Police nabs 2 for theft at Nizam Museum; stolen valuable recovered"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।

[7] Nanisetti, Serish (২০১৮-০৯-০৫)। "A museum begging to be burgled"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬।

[8] "Nizam Museum"। Times of India Travel। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬।

[9] Sudhir, Uma। "Thief Used Hyderabad Nizam's Gold Tiffin Box To Eat Every Day: Police"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮।

[10] Janyala, Sreenivas (২০১৮-০৯-১২)। "Hyderabad: Two held in museum theft case, police say they wanted to get taste of Nizam luxury"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]