টেংরা ছোট একটি মাছ। যার বৈজ্ঞানিক নাম Batasio tengana

টেংরা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Siluriformes
পরিবার: Bagridae
গণ: Batasio
প্রজাতি: B. tengana
দ্বিপদী নাম
Batasio tengana
Blyth, 1860

বর্ণনা সম্পাদনা

টেংরা মাছ আকারে ছোট হয় এবং মাথায় দুই জোড়া গোঁফ থাকে।দেহ প্রায় গোলাকার,দেহে কোনো আঁশ নেই এবং দেহ বেশ পিচ্ছিল।আত্মরক্ষার জন্য ফুলকার দুই পাশে দুইটি এবং পিঠে একটি সরু কাঁটা থাকে।পিঠের উপরের অংশ কালচে এবং পেটের দিকটা সাদা হয়ে থাকে।

শ্রেনীবিন্যাস সম্পাদনা

টেংরা এর বৈজ্ঞানিক নাম Batasio tengana। মাছটির ইংরেজি নাম Batasio। এটি Bagridae পরিবার (family) এর অন্তর্গত। এটি বাংলাদেশ এর স্থানীয় (Native) মাছ।[১]

চাষপদ্ধতি সম্পাদনা

 
কলকাতার বাজারে টেংরা

টেংরা একটি মিষ্টি পানির দেশীয় মাছ।সাধারণত নদী,খাল ও বিলে এ মাছ পাওয়া যায়। তবে এ মাছ পুকুরে চাষ করা সম্ভব।

প্রজনন সম্পাদনা

টেংরা মাছ ৩ মাস বয়সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। মে মাসের শেষের দিকে এ মাছ পেটে ডিম ধারণ করে এবং প্রায় এক মাস পর জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডিম ছেড়ে দেয় যেখান থেকে জন্ম হয় হাজার হাজার বাচ্চা।

পুষ্টি গুণাগুণ সম্পাদনা

১০০ গ্রাম টেংরা মাছে ১৪৪ ক্যালরি শক্তি, ১৯.২ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৫ গ্রাম চর্বি, ২৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ২ মিলিগ্রাম আয়রন।তাই রক্তশূন্যতার রোগীদের টেংরা মাছ খাওয়া উচিত।

বাসস্থান সম্পাদনা

এটি মিঠা পানির মাছ। সাধারণত নদী, খাল এবং বিল এ পাওয়া যায়। তবে পুকুরে এ মাছ চাষ করা সম্ভব।

চাষ পদ্ধতি সম্পাদনা

টেংরা মাছ এর বাণিজ্যিক চাষ করা হয় না। ইউরোপের বাজারে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একুয়ারিয়াম ফিশ হিসাবে টেংরা মাছের চাহিদা রয়েছে।[২]

আরো দেখুন সম্পাদনা

১.বাংলাদেশের মাছ

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২১ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫