চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা

চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক একটি আলিয়া মাদ্রাসা[১][২] ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত।[৩][৪] এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হলেন অধ্যক্ষ মুফতি মোজাফফর আহমদ (রহ.)। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালের পর অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন (রহ.) এবং আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে এই আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী।

চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা
মাদরাসার লোগো
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯৭৮; ৪৬ বছর আগে (1978-01-01)
প্রতিষ্ঠাতামুফতি মুজাফফর আহমদ (রহ.)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
অধ্যক্ষমাওলানা রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ২০০০
ঠিকানা
ফিরোজশাহ, পাহাড়তলী থানা
, , ,
শিক্ষাঙ্গনসিটি কর্পোরেশন
ইআইআইএন১১৪৬৮১
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন
ওয়েবসাইট104681.ebmeb.gov.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। উপমহাদেশের সুফি সাধক সৈয়দ নেছার উদ্দীনের নামে মুফতি ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুজাফফর আহমদের উদ্যোগে ১৯৭৮ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

বর্তমানে এটি একটি কামিল মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম জেলার ইসলামি শিক্ষার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৪ সালের দিকে এই মাদ্রাসাকে বাংলাদেশী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলো।[৫] এই মাদ্রাসাটি ফাজিল ও কামিল শ্রেণীর ডিগ্রি প্রদানের জন্য ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিলো,[৬] এরপর থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অবস্থান সম্পাদনা

চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা চট্টগ্রাম জেলার সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে আওতাধীন পাহাড়তলী থানার ফিরোজশাহ নামক স্থানে অবস্থিত। মাদ্রাসাটি চট্টগ্রামের আমানতউল্লাহ রোডের পাশেই ফিরোজ শাহ কলোনিতে অবস্থিত।

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

এই মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী থেকে কামিল পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। দাখিল ও আলিম শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক শাখা রয়েছে। এছাড়াও ফাজিল ও কামিল শ্রেণীতে তাফসীর বিভাগ, আল হাদিস বিভাগ, ও আল ফিকহ বিভাগ নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদরাসায় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫ 
  2. "পাহাড়তলী চট্টগ্রাম নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা এর প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তার কবর উৎচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ"Chattogram Daily - Latest News from Chittagong (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল অনার্সে ভর্তি | daily nayadiganta"The Daily Nayadiganta। ২০২১-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫ 
  4. "Chattagram Nesaria Kamil Madrasah - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫ 
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "চট্টগ্রাম নেছারিয়া মাদরাসায় জঙ্গিবাদবিরোধী আলোচনা"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫ 
  6. "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি" (পিডিএফ)ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। ১০ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২১