কচুরি

ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঝাল খাবার

কচুরি ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থাৎ ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্থানের একটি মুখরোচক খাবার। ময়ান ও পুর ভেদে বিভিন্ন রকমের কচুরি প্রস্তুত করা হয়।

কচুরি
উৎপত্তিস্থল ভারত  বাংলাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যভারতীয় উপমহাদেশ
পরিবেশনগরম অথবা স্বাভাবিক তাপমাত্রা
প্রধান উপকরণময়দা, ঘি
কচুরি সাধারণত তরকারি দিয়ে খাওয়া হয়।

ব্যুৎপত্তি

সম্পাদনা

সংস্কৃত ভাষায় কচুরি পূরিকা হিসাবে সমাদৃত।[১]

স্বামী বিবেকানন্দের প্রিয় খাবার ছিলো এই কচুরি। প্রবাসে একজন সন্ন্যাসীর বেশভূষা দেখে তাকে তার গোত্র জিজ্ঞাসা করায় উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন "আমি কচুরি গোত্রের সন্ন্যাসী"।

দেব ভোগ

সম্পাদনা

নবদ্বীপের বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরে শীতকালে কড়াইশুঁটির কচুরির মাধ্যমে দেবতাদের ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে।

খাদ্যগুণ

সম্পাদনা

কচুরি সুস্বাদু, রুচিকর, স্নিগ্ধ, গুরুপাক, বলকারক, শুক্রবর্ধক,বায়ু ও রক্ত-পিত্ত রোগে উপকারি। হিন্দুদের প্রধান খাবার

কচুরির উৎকর্ষ ময়ান অর্থাৎ ঘি-এর পরিমানের উপর নির্ভরশীল। সাধারনতঃ এক সের (০.৯৩৩ কেজি) ময়দার সঙ্গে আধ পোয়া (০.১১৭ কেজি)থেকে দেড় পোয়া (০.৩৫০ কেজি) পর্যন্ত ময়ান দেওয়া হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. রায়, প্রণব (জুলাই ১৯৮৭)। বাংলার খাবার। কলকাতা: সাহিত্যলোক। পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫।